কফিরঙ সুন্দর মুখের প্রতি আমার একটা সহজাত টান আছে ।
কলেজে এস এফ আইয়ের ইউনিট মেম্বার ছিলাম। একবার ইউনিয়ন থেকে প্রিন্সিপ্যালের কাছে ডেপুটেশন দিতে যাওয়া হল কলেজ এ-গ্রাউন্ডের দক্ষিণ দিকে প্রিন্সিপ্যালের বাংলোয়। কী ইস্যুতে ডেপুটেশন সেটা আর মনে নেই।
ইউনিয়নের কর্মসূচি বলে অনেক ছেলেমেয়ে জড়ো হয়েছিল। বাংলোর পরিবেশটি বেশ রোম্যান্টিক। চারপাশে গাছগাছালি আর বারান্দা দিয়ে ঘেরা বাংলো, তাতে আবার কাঠের রেলিং। এমনিতে তো ওদিকটায় যেতুম না। সেদিন আমরা একগাদা জুটেছিলাম। ইউনিয়নের নেতারা কয়েকজন ভেতরেপ্রিন্সিপ্যালের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত, বাকিরা বাংলোর বারান্দায় ভরপুর গজল্লা করছি ।
হঠাৎ নজরে পড়ল একটি শ্যামলবরন কন্যার গোলপানা মুখে। সেই গম্ভীর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চুমকিকে জিগ্যেস করলুম, হ্যাঁ রে, ঐ মেয়েটা কে রে, চিনিস ? চুমকি এক বছরের সিনিয়র, ভীষণ বন্ধু ছিল, আজও আছে। চুমকি বলল, চিনব না কেন ? ওতো পারমিতা, আমাদের হস্টেলেই থাকে, জুওলজি অনার্স, তোদের ইয়ার। কেন, তোর কী দরকার ?
সত্যিই তো, আমার কী দরকার ? মুখটা দেখে ভালো লাগলো, আবেগের বশে বলে ফেলেছি, ব্যস ! আর তো কোনও গূঢ় প্ল্যানিং নেই। চুমকিকে বললুম, না,মানে মুখটা বেশ ইন্টারেস্টিং, আর কিছু নয় ।
ইকনোমিক্স-পড়া চুমকি চোখ সরু করে বলল, ইন্টারেস্টিং ? হুমম, বুঝেছি ।
কয়েকদিন পরে যখন চুমকির সঙ্গে দেখা, চুমকি দৃশ্যতই উত্তেজিত । আর বলিস না রে ভাই, কাল পারমিতা বাথরুমে স্নান করছে। আমি বাইরে থেকে খুব ক্যাজুয়ালি বললাম, পারো, তাড়াতাড়ি বের হ। কলেজে তোর ডিমান্ড বাড়ছে এবারে ! শুনেই মেয়েটা হন্তদন্ত হয়ে ভিজে চুল,হাতে মগ নিয়ে দরজা অর্ধেক ফাঁক করে ভীষণ উদ্বিগ্ন মুখে বলল, কী বলছ গো চুমকি দি ? কিছুই বুঝতে পারছি না।
বললাম, ওরে তোর সম্পর্কে একজন একটু খোঁজখবর নিচ্ছিল আর কি। শুনে সে-মেয়ে প্রায় কাঁদোকাঁদো হয়ে কী বলল জানিস ? বললে, প্লিজ চুমকি দি, তুমি অন্তত আমাকে এসব বোলো না। আমি কলেজে সিরিয়াসলি পড়াশোনা করতে এসেছি, বাড়িতে জানলে ভীষণ রেগে যাবে !
তারপর থেকে সারাদিন, ডাইনিং হলে, বিকেলে সে-মেয়ের মুড অফ । আমাকে দেখলেই যেন ভয়ে সিঁটিয়ে থাকছে। যসু , তুই ওকে খবরদার আর কিছু বলিস না। যা হাবভাব দেখছি, মেয়েটা হয়তো এবার কলেজে পড়াটাই ছেড়ে দেবে !
ইউনিয়নের কর্মসূচি বলে অনেক ছেলেমেয়ে জড়ো হয়েছিল। বাংলোর পরিবেশটি বেশ রোম্যান্টিক। চারপাশে গাছগাছালি আর বারান্দা দিয়ে ঘেরা বাংলো, তাতে আবার কাঠের রেলিং। এমনিতে তো ওদিকটায় যেতুম না। সেদিন আমরা একগাদা জুটেছিলাম। ইউনিয়নের নেতারা কয়েকজন ভেতরেপ্রিন্সিপ্যালের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত, বাকিরা বাংলোর বারান্দায় ভরপুর গজল্লা করছি ।
হঠাৎ নজরে পড়ল একটি শ্যামলবরন কন্যার গোলপানা মুখে। সেই গম্ভীর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চুমকিকে জিগ্যেস করলুম, হ্যাঁ রে, ঐ মেয়েটা কে রে, চিনিস ? চুমকি এক বছরের সিনিয়র, ভীষণ বন্ধু ছিল, আজও আছে। চুমকি বলল, চিনব না কেন ? ওতো পারমিতা, আমাদের হস্টেলেই থাকে, জুওলজি অনার্স, তোদের ইয়ার। কেন, তোর কী দরকার ?
সত্যিই তো, আমার কী দরকার ? মুখটা দেখে ভালো লাগলো, আবেগের বশে বলে ফেলেছি, ব্যস ! আর তো কোনও গূঢ় প্ল্যানিং নেই। চুমকিকে বললুম, না,মানে মুখটা বেশ ইন্টারেস্টিং, আর কিছু নয় ।
ইকনোমিক্স-পড়া চুমকি চোখ সরু করে বলল, ইন্টারেস্টিং ? হুমম, বুঝেছি ।
কয়েকদিন পরে যখন চুমকির সঙ্গে দেখা, চুমকি দৃশ্যতই উত্তেজিত । আর বলিস না রে ভাই, কাল পারমিতা বাথরুমে স্নান করছে। আমি বাইরে থেকে খুব ক্যাজুয়ালি বললাম, পারো, তাড়াতাড়ি বের হ। কলেজে তোর ডিমান্ড বাড়ছে এবারে ! শুনেই মেয়েটা হন্তদন্ত হয়ে ভিজে চুল,হাতে মগ নিয়ে দরজা অর্ধেক ফাঁক করে ভীষণ উদ্বিগ্ন মুখে বলল, কী বলছ গো চুমকি দি ? কিছুই বুঝতে পারছি না।
বললাম, ওরে তোর সম্পর্কে একজন একটু খোঁজখবর নিচ্ছিল আর কি। শুনে সে-মেয়ে প্রায় কাঁদোকাঁদো হয়ে কী বলল জানিস ? বললে, প্লিজ চুমকি দি, তুমি অন্তত আমাকে এসব বোলো না। আমি কলেজে সিরিয়াসলি পড়াশোনা করতে এসেছি, বাড়িতে জানলে ভীষণ রেগে যাবে !
তারপর থেকে সারাদিন, ডাইনিং হলে, বিকেলে সে-মেয়ের মুড অফ । আমাকে দেখলেই যেন ভয়ে সিঁটিয়ে থাকছে। যসু , তুই ওকে খবরদার আর কিছু বলিস না। যা হাবভাব দেখছি, মেয়েটা হয়তো এবার কলেজে পড়াটাই ছেড়ে দেবে !
না, আমিও আর কোনদিনও কিছু বলিনি । সেদিনের ঐ প্রিন্সিপ্যালের বাংলোর মায়াবী রোম্যান্টিক পরিবেশে আলটপকা চোখে লেগে-যাওয়া সেই গোলপানা মুখ তারপর থেকে ক্যাম্পাসে আমাকে যতবার দেখেছে, কেমন একটা কঠিন আড়ষ্ট মুখ করে থেকেছে ।
সে-মুখের জন্যে কোনও রাতের ঘুম স্যাক্রিফাইস করেছি বলেও মনে পড়ে না । শুধু এই কলেজ গ্রুপের চক্কোরে ছাব্বিশ বছরের ওল্ড মেমারি জাস্ট রিভিজিট করে গেল ।
No comments:
Post a Comment