Monday, July 25, 2016

খ্রিস্টান কলেজ ও আমি : যশোবন্ত্ বসু

( )
***********************
যখন জেলা স্কুলে বয়:সন্ধি পেরিয়ে ক্রমশ এগোচ্ছি মাধ্যমিকের দিকে, সেই সময়খণ্ডে কবে খ্রিস্টান কলেজে গিয়ে ভর্তি হতে পারব সেই চিন্তাই ছিল চমৎকারা ! কারণ সেই সময়ে খ্রিস্টান কলেজই ছিল ধূসর শহরের একমাত্র রঙিন দ্বীপ। সেই মায়াকুহকের হাতছানিতে দুখানা বি টি টেস্ট পেপার হইহই করে শেষ হয়ে গেল !
বুদ্ধদেব গুহ, নীললোহিত পড়ে ফেলা কৈশোরের ফ্যান্টাসি স্বপ্নপূরণের সব রাস্তাই যেন খ্রিস্টান কলেজের দিকে অবধারিত বাঁক নিত
কাজেই কলেজের ক্লাস ইলেভেন রূপকথার প্রাসাদে ঢুকে পড়ার পাস ওয়ার্ড, এই বিশ্বাসটাই বদ্ধমূল ছিল

( )
**********************
আমাদের জেলা স্কুলের মাধ্যমিকের ব্যাচের যত জনের কপালে খ্রিস্টান কলেজ জুটল তাদের প্রায় সবাই ভর্তি হয়ে গেল ইলেভেন সায়েন্সে শুধু দিব্যেন্দু আর আমি বাই চয়েস আর্টসে কিন্তু প্রথমদিনের ক্লাস করতে গিয়েই হরিষে বিষাদ। কো-এড কলেজে পড়ার উত্তেজনা বাঁচিয়ে রাখায় জল বাতাস দেবে এমন মেয়ে নেই যে ! না,না, ছিল একটি মেয়ে ছিল, মৌসুমি। ইলেভেন সায়েন্সের গুটিকতক মেয়ের মধ্যে সে-মেয়ে রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী !
আর্টস পড়লেও আমার অংক ছিল ফোর্থ সাবজেক্ট।সারাদিনে একবার করে যেতাম ইলেভেন সায়েন্সের সেই গ্যালারি ক্লাসরুমে। একেবারে ওপরের ধাপের একটা বেঞ্চে বসতাম, অগ্নি,অনিন্দ্য, সঞ্জীব এদের সঙ্গে। গুইরাম বাবু বা সহদেব বাবুর অংক পিরিয়ডে যখন নীরস ইন্টিগ্রাল বা ডিফারেন্সিয়াল ক্যালকুলাস চলছে বোর্ডে, আমরা তখন অংক খাতার পেছনের পাতায় জয় গোস্বামী বা সুনীল গাঙ্গুলির লাইন লিখছি একটা করে, আর পরের লাইনগুলো নিজেরা নামাচ্ছি যার যা খুশি : " ভ্রূ-পল্লবে ডাক দিলে দেখা হবে চন্দনের বনে "/ মৌসুমি কি চোখ দিয়েও শুধু ক্যালকুলাসই শোনে ? মৌসুমির জোড়া ভ্রূ ছিল।
প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে মৌসুমির পার্টনার কে হবে সেই নিয়ে আমার সায়েন্সের বন্ধুদের মধ্যে এক রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার অপেক্ষা থাকত প্রত্যেক সপ্তাহে। আমার অবশ্য সেসবের বালাই ছিল না।
একবার কেমিস্ট্রি প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস শেষ করে ক্যান্টিনে এসে আমার এক বন্ধু হতাশ গলায় বলেছিল, আজ মৌসুমির সঙ্গে প্র্যাকটিক্যাল করছিলাম। বুনসেন বার্নারের আলোটা মুখের একপাশে পড়ে মৌসুমিকে ঠিক বনলতা সেনের মতো লাগছিল জানিস ! কিন্তু মেয়েটা পড়ার বইয়ের বাইরে আর কোনও কিছুতে নজরই করল না। আমি বলেছিলাম, কী আর করবি ? একটা ডিমের চপ খা


()
***************************
আমাদের ইলেভেন আর্টসের মেয়েরা সংখ্যায় বেশি ছিল ঠিকই কিন্তু এতই নিপাট ভালমানুষ সাদাসিধে গোছের যে, তাদের কাউকে দেখে বুকের মধ্যে ঢং করে সেই ঘন্টা বাজার ব্যাপারটা মিসিং ছিল !
তাই প্রতিদিন ঘুম ভাঙলেই মনখারাপ হয়ে যেত কলেজে যেতে হবে ভেবে
ইলেভেনের ক্লাস শুরু হত বাংলার ' পল্লী গ্রামস্থ প্রজাদের দুরবস্থা বর্ণন " আর ইংরেজির ' টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড " দিয়ে বৃদ্ধ আনন্দ বাবু বাংলা পড়াতেন ভীষণ যত্নে আন্তরিক নিষ্ঠায় পড়াতেন, কিন্তু খটমটে বাংলার ক্লাসে পড়ার চেয়ে হট্টগোল হত বেশি
পার্থ বাবুর ইংরেজি ক্লাসটিও ছিল তথৈবচ ক্লাসে হইহল্লা নেই, আবার নীরস গম্ভীর পাঠে আকর্ষণও নেই শেষের ঘন্টার জন্য আমরা উৎকর্ণ হয়ে থাকতাম অথচ এই পার্থ বাবুই আবার যখন ইংরেজির অনার্স ক্লাসে ডিকেন্সের " টেইল অফ টু সিটিজ " পড়াতে এলেন, কী ভালই যে লেগেছে !
ইংরেজি অনার্সের তিনটে বছর ছিল আনন্দের অধ্যাপক এম.বি.সুরাল পড়াতেন 'ম্যাকবেথ' আর ' আর্মস্অ্যান্ড দ্য ম্যান' সুরালবাবু খুব রসিক মানুষ ছিলেন বার্নাড শয়ের নাটকটি যেহেতু রোমান্টিক কমেডি , ক্লাসগুলোও খুব জমে যেত নায়িকা রাইনার রোমান্টিকতা,দুই হিরো সার্জিয়াস আর ব্লান্টস্লির মধ্যে সংঘাত,আয়রনি,ক্লাইম্যাক্স,অ্যান্টি ক্লাইমাক্স সব মিলিয়ে খুব মজে থাকতাম বিশ্বরূপ বাবু কবিতা পড়াতেন মার্ভেলের 'কয় মিসট্রেস' পড়িয়েছিলেন খুব সুন্দর করে, একেবারে রাখঢাকহীন আলোচনা ব্যাখ্যা সহযোগে সেই সময়ের বহু ঘুম ধরতে দেরি-হওয়া রাতে মার্ভেলের সেই লাজুক নায়িকার পাহাড়প্রমাণ কুণ্ঠা জড়তা সরিয়ে দেবার ছুটকো ছাটকা ফ্যান্টাসি বালিশে বিছানায় শ্বাস ছুঁয়ে গেছে
তখনের সেই সাহিত্যপাঠেই যে-টুকু রোমান্টিক আনন্দের খোরাক ছিল, রিয়েল লাইফের রোমান্স ছিল লবডংকা !
তবু সেই ইউজার আনফ্রেন্ডলি পরিবেশেও আমাদের জেলা স্কুলের ব্যাচে দুটো স্টেডি প্রেম ছিল, অরিন্দম-সোমা আর সৌমেন-মহুয়া চার জনেই ইলেভেন সায়েন্স সোমা আবার কলেজেরই এক অধ্যাপকের মেয়ে !ওদের প্রেমের আদি পর্বটি ছিল বাড়ির প্রবল আপত্তিজনিত ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ সেই প্রতিকূল মাটিতেও যে ওদের প্রেমের চারাগাছটি রোপণ করা গিয়েছিল এবং কলেজে ঢোকার পরে তা ক্রমশ সজীব পল্লবিত হয় এবং পরে বিয়ে-থা, সুখে ঘরকন্না ইত্যাদিতে ফলপ্রসূ হয় তাতে দুজনেরই প্রবল জেদ, ধৈর্য অধ্যবসায়ের নিখুঁত জলছাপ ছিল এদের মতো ডাই হার্ড জুড়িকে ভেবেই বোধ হয় রবি ঠাকুর লিখে রেখে গেছলেন, " পাড়ি দিতে নদী হাল ভাঙে যদি ছিন্ন তরীর কাছি / মৃত্যুর মুখে দাঁড়ায়ে জানিব তুমি আছ আমি আছি "
সৌমেন মহুয়ার আলাপ এবং প্রেম এই কলেজেরই মাঠে ক্যান্টিনে পরে ওরাও বিয়ে করে অরিন্দম, সৌমেন আমাদের খুব কাছের বন্ধু বলে সোমা আর মহুয়াও আমাদের দারুণ বন্ধু হয়ে গেল

( )
**********************
আমরা বাকিরা যারা কোনও একটি বিশেষ মেয়ের সঙ্গে কোনও রামধনু রঙের কলেজযাপন করিনি ভিড়ের মধ্যেও আড়াল তৈরি করে নিয়ে,তাদের খ্রিস্টান কলেজ তাই বলে যে খুব সাদায় কালোয় কেটেছিল তা কিন্তু নয়। আমাদের পাস কোর্সের ক্লাস-ফাঁকি ছিল, ক্যান্টিন ছিল,আড্ডা ছিল ভরপুর। এছাড়া ইউনিয়ন রুম, চিপ স্টোর, টেবিল টেনিস,ক্রিকেট,কলেজ সোস্যালের নাটক ইত্যাদিতে জড়িয়ে ছিলাম ওতপ্রোত।
আরেকটি ভীষণ উত্তেজনার সাবজেক্ট ছিলেন কলেজের এক অতি সন্দেহবাতিক অধ্যাপক। তাঁর দুটি সুন্দরী মেয়ে ছিল। একজন আবার এই কলেজেরই ছাত্রী।
ভদ্রলোকের দৃঢ়তম ধারণা ছিল, জেলা স্কুলের ছেলেরা ব্যাচ পরম্পরায় তাঁর মেয়েদের পেছনে হাত ধুয়ে পড়ে আছে। সামান্য প্ররোচনাতেই তিনি খেপচুরিয়াস হয়ে উঠতেন আর এই প্ল্যাটিনাম সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছি আমরা। 
তাঁর নামটা ভেঙে ছোট করে নিয়েছিলাম। রাস্তায় তাঁকে দেখতে পেলেই দূর থেকে তাঁর সেই ভাঙা নামে ডেকে এদিক ওদিক লুকিয়ে পড়তাম। ব্যস, তিনি ওদিকে হাইলি রিঅ্যাক্টিভ। রাগতেন, চেঁচাতেন, " এই এই শোন,শোন, দাঁড়াও,দাঁড়াও " বলে পেছনে ধেয়ে আসতেন, আমরা ততক্ষণে পরিষেবা সীমার বাইরে। এই ছিল আমাদের এক নিকৃষ্টতম আমোদ। 
একবার তো সেই অত্যাচার হোম ছেড়ে অ্যাওয়ে ম্যাচ অব্দি গড়ালো। ইলেভেনের মাঝামাঝি কোনও এক সময়ে আমরা চার বন্ধু পুরী বেড়াতে যাচ্ছি। খ্রিস্টান কলেজের আমরা তিনজন আর সম্মিলনী কলেজের একজন। কলেজের মাধ্যমেই ম্যানেজ করে সিঙ্গল ফেয়ার ডাবল জার্নির মহার্ঘ সুবিধা আদায় করেছি রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। জীবনে সেই প্রথমবার বাড়ির লোকজন বাদ দিয়ে নিজেরাই নিজেদের অভিভাবক হয়ে রাজ্যের বাইরে কোথাও যাচ্ছি।
নীলাচল এক্সপ্রেস ধরতে বাঁকুড়া স্টেশনে পৌঁছে দেখি মেঘ না চাইতেই জল ! 
সেই অধ্যাপক সপরিবারে পুরীর ট্রেনের জন্য প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষমান তারপরের ঘটনাক্রম উল্লাস বেদনার সেই সময়ের এক চলতি হিন্দি গানের প্রথম শব্দটিই ছিল অধ্যাপকের সেই ভাঙা নামের নামে। কৌশিক গান টা ভালই গাইত আর পড়তও সম্মিলনী কলেজে। কাজেই সে সব চেয়ে বেশি বেপরোয়া।গোটা ট্রেন তাই সেই গান গেয়েই ডাকাডাকি চলল।
পিকচার আরও বাকি ছিল দুর্ঘটনাচক্রে অধ্যাপকও সেই ভারত সেবাশ্রমেই উঠলেন। আর এমনই কপাল, তাঁদের বাথরুম যাবার প্যাসেজটি ঠিক আমাদের রুমের সামনে দিয়েই। যতবার তাঁর মেয়েদের কেউ না কেউ বাথরুম যেত, তিনি স্বয়ং কম্যান্ডো পাহারায় মেয়েদের প্যাসেজ পারাপার করাতেন। আর আমাদের ঘরের মধ্যে সেই হিন্দি গানটির দুটি লাইনের লক্ষ রিপিটিশন
সেবারের সেই পুরী ভ্রমণ ভদ্রলোকের পক্ষে যে কী দু:সহ জ্বালাতন, অশান্তি আর যন্ত্রণার কারণ হয়েছিল তা আর কহতব্য নয়। তিনি অটল বিশ্বাস নিয়ে ফিরেছিলেন যে, তাঁর মেয়েদের পেছনে ধাওয়া করে আমরা এই চার কালপ্রিট পুরী পর্যন্ত গিয়েছি। পুরী যাওয়াটা যে পাশের পাড়ায় যাওয়ার মতন ব্যাপারটা নয় কিংবা সাধারণ মধ্যবিত্ত বাবা মা' দেওয়া সামান্য হাত খরচে প্রতিপালিত ছেলেপুলেরা যে চাইলেই কোনও অধ্যাপকের সুন্দরী মেয়েদের পিছু পিছু পুরী পর্যন্ত চলে যেতে পারে না, একথা তাঁকে কোন্ জগন্নাথ বোঝাবেন ?
ফিরে এসে তিনি কলেজের ছাত্র সংসদের জি.এস, কালচারাল সেক্রেটারির কাছে কমপ্লেন করেছিলেন। কিন্তু সেই জি.এস বা কালচারাল সেক্রেটারিও যে জেলা স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র ! আর অধ্যাপকের সন্দেহবাতিকটিও ছিল সর্বজনবিদিত কাজেই অবজেকশন ওভার রুলড হয়ে গিয়েছিল সহজেই

( )
**********************
এইসব অসভ্যতার ইতিহাস ইলেভেন-টুয়েলভের আমলের। আসলে ইস্কুলের বদমাইশিগুলো তখনও পুরোপুরি রিসাইকেল বিনে যায়নি। যখন অনার্স পড়তে শুরু করলুম, ইংরেজি সাহিত্যরসে অনেকটাই মজে গেলুম। স্বাভাবিকভাবেই সেই থার্ড গ্রেড নোংরামিগুলোও নিভে গেল একে একে।
পুজোর ছুটি পড়ার আগে কলেজ সোস্যাল আর ডিপার্টমেন্টাল এগজিবিশনগুলো খুব আকর্ষণের বিষয় ছিল। প্রতিদিনের দেখা মেয়েগুলোই এত অন্যরকম সেজেগুজে আসত ! আমার আবার দেখতে ভালো লাগত উঁচু ক্লাসের মেয়েদের। ইংরেজি, ইকোনমিক্স, ইতিহাস, বায়ো সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের সবকটা সুন্দর মুখই বয়সে বড় ! ওহ্, কী কপাল করেই যে জন্মেছিলুম !
তবুও দেখতুম, দূর থেকে, মানে নিরাপদ দূরত্ব যাকে বলে আর জমাট আফশোস হত, কলেজের মাঠে,গাড়ি বারান্দায় বা ক্যান্টিনের আড্ডায় সেই সব রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী মেয়েগুলির সঙ্গে বেশ কিছু হিরণ্ময় মুহূর্ত এই কলেজজীবনে আর কাটানো গেল না বলে স্বভাবপাকা ছিলাম আর কি !
কিন্তু তাই বলে আমরা সেই সময়কালে পকেটে করে এক টুকরো সাহারা মরুভূমি নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি তা মোটেই নয়।
অরিন্দম বা সৌমেনদের মতো না হলেও আমাদের সেই সমস্ত কলেজদিন কেটেছে নিজস্ব মেজাজ,মৌতাত আর মর্জিতে।
শুধু একবছরের এক নবীন বরণ অনুষ্ঠানের কথা নাছোড় স্মৃতি হয়ে আছে। এক তন্বী, হলুদে সাদায় ফুল ফুল সালোয়ার কামিজের কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ঋজু হেঁটে যাওয়া দেখেছিলাম পেছনের একটা বেঞ্চে বসে থাকতে থাকতে। অনুষ্ঠান তখন প্রায় শেষের মুখে। সেই মেয়ের হেঁটে গিয়ে খুব সাবলীলভাবে মাঝখানের কোনও একটা বেঞ্চে বসে যাওয়া মিড ক্লোজ শট থেকে লং শটে ক্রমশ ফেড আউট করে যাওয়ার মতো। হলঘরে কয়েক মুহূর্ত কিন্তু স্বপ্নে বহুক্ষণ
দেখেই মনে হল, আরে, এই তো সে ! যেন বুদ্ধদেব গুহর উপন্যাসের নায়িকা, হুবহু কপি-পেস্ট উঠে এল !
সেদিন অনুষ্ঠানের পরে বৃষ্টি হয়েছিল। ছাতা ছিল না বলে বেশ খানিকক্ষণ আটকে ছিলাম প্রায়-ফাঁকা কলেজে একটা ঘোরের মধ্যেও ছিলাম। বাড়ি যেতে ইচ্ছেই করছিল না।
তারপর থেকে মাঝেমাঝেই কেমন যেন একটা চিনচিনে অনুভূতি হতে লাগল কাজের ফাঁকে ফাঁকে, অলখ নির্জনতায়।
পরে, অনেক পরে সেই অনুভূতি ডিকোড করে জানা গিয়েছিল, তার নাম প্রেম। ততদিনে খ্রিস্টান কলেজ চুকেবুকে গেছে
( শেষ )

No comments:

Post a Comment