বাঁকুড়া ক্রীশ্চান কলেজ I আজ যে কথাটা হঠাৎই মনের মধ্যে ভেসে উঠল,সেটা ভেবে এই বয়সেও শরম বোধ হয় I তখন সবে ইলেভেন ক্লাশে পড়ি,সালটা ৮৫ বা ৮৬,নিচের গ্যালারিতে(জিমনাসিয়ামের দিকে কোনার ক্লাশরুম)ইলেভেন সায়েন্সের ক্লাশ I প্রথম ছয় পিরিয়ড এখানে ক্লাশ হবার পর চলে যেতে হত কলেজ বি গ্রাউন্ডএর পাশের ,বিল্ডিং এর অন্য কোনের নিচ তলার ঘরে I শেষ তিনটে পিরিয়ড ছিল বায়োলজি,বাংলা ও ইংরাজীর I প্রথম কলেজ জীবন তখন, প্রথম ছেলে মেয়ে একসাথে পড়া,চোখে রঙীন প্রজাপতি দেখছি!ক্লাশে তিরিশ জন মতো সহপাঠিনীর মধ্যে চারপাঁচ জন তখন কথাটথা বলে,ডাকাবুকো ছেলেরা জনা পনেরোর সঙ্গে ভাব করে নাক তুলে চলে I বাকি মেয়েরা সোজা কথায় তখনও ভাও খাচ্ছে l তাছাড়া ইউনিফর্মের একঘেয়ে সাদা নীল থেকে মুক্তি,স্কুলব্যাগের থেকে মুক্তি,ক্লাশ পালিয়ে সিগ্রেট টানার আজাদি,বইখাতার বদলে বাবার দেওয়া সরু একখানা ডায়েরিতেই কাজ মিটে যাচ্ছে!
তো একদিন বিকেলে ওই ডায়েরি খানা বাগিয়ে,একটু দেরী করেই ইংরাজী ক্লাশে ঢুকছি I ক্লাশ নিচ্ছেন একজন বয়স্ক স্যার I মাথায় হিরোগিরি চেপে গেল I ডায়েরি সামনে ধরে বলে ফেললাম-----মে আই কাম ইন স্যার?(সে কালে আদ্যপান্ত বাংলা পড়া আমাদের পক্ষে ব্যাপারটা কিছুটা বাড়াবাড়ি তো বটেই!)তবে স্যার উপলক্ষ মাত্র,লক্ষ্য তো ওই ডান দিকের রো তে বসা তিরিশজোড়া আড় চোখ I অধ্যাপকটি যা করলেন তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না I পড়া থামালেন,ঘুরে দাঁড়ালেন,সুন্দর হাসলেন এবং বললেন----প্লিজ কাম জেন্টলম্যান,প্লিইইজ I .এতটা আশা করিনি,বড়জোর ভেবেছিলাম উনি দেরি করার জন্য মৃদু ধমক দেবেন l অথবা ঘাড় হেলিয়ে বসে যেতে বলবেন I কিন্তু তা না করে একেবারে ব্রিটিশ কেতায় লম্বা প্লিইইজ!তাও আমার মত একটি চুনো পুঁটির জন্য I আমি যে পুঁচকে ছোকরা আর উনি যে প্রবাদপ্রতিম প্রোফেসার এম বি সুরাল!!ওনার ছোট হয়ে আসা চোখ যেন কিছু বলতে চাইছিল I আমি অপ্রস্তুত,উপরোন্তু ডান দিকের ঐ তিরিশ জোড়া চোখ ড্যাবড্যাবিয়ে সদ্য হিরোটিকে দেখছে--আমার রঙ ফরসা হলে,গালের লালিমা ওদের চোখেও ধরা পড়তোI ঘাবড়ে গিয়ে কোনমতে ক্লাশের পেছনে বসলাম I .জীবনের প্রায় দশ আনা পথ পেরিয়ে এসে কলেজে যা যা পড়েছি তা ভুলে গেছি কবেই I অধিকাংশ স্যারের নামও মনে পড়েনা I তবুও সেই দিনের কথা মনে পড়লেই লজ্জা তো হয়ই,এতদিন বাদেও মনে হয় স্যার বোধহয় স্বভাব জাত সহবৎ নিয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে মিটিমিটি হাসছেন!আমার অভিপ্রায় তাঁর চোখে ধরা পড়ে যাচ্ছে যে! .
স.মা.
তো একদিন বিকেলে ওই ডায়েরি খানা বাগিয়ে,একটু দেরী করেই ইংরাজী ক্লাশে ঢুকছি I ক্লাশ নিচ্ছেন একজন বয়স্ক স্যার I মাথায় হিরোগিরি চেপে গেল I ডায়েরি সামনে ধরে বলে ফেললাম-----মে আই কাম ইন স্যার?(সে কালে আদ্যপান্ত বাংলা পড়া আমাদের পক্ষে ব্যাপারটা কিছুটা বাড়াবাড়ি তো বটেই!)তবে স্যার উপলক্ষ মাত্র,লক্ষ্য তো ওই ডান দিকের রো তে বসা তিরিশজোড়া আড় চোখ I অধ্যাপকটি যা করলেন তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না I পড়া থামালেন,ঘুরে দাঁড়ালেন,সুন্দর হাসলেন এবং বললেন----প্লিজ কাম জেন্টলম্যান,প্লিইইজ I .এতটা আশা করিনি,বড়জোর ভেবেছিলাম উনি দেরি করার জন্য মৃদু ধমক দেবেন l অথবা ঘাড় হেলিয়ে বসে যেতে বলবেন I কিন্তু তা না করে একেবারে ব্রিটিশ কেতায় লম্বা প্লিইইজ!তাও আমার মত একটি চুনো পুঁটির জন্য I আমি যে পুঁচকে ছোকরা আর উনি যে প্রবাদপ্রতিম প্রোফেসার এম বি সুরাল!!ওনার ছোট হয়ে আসা চোখ যেন কিছু বলতে চাইছিল I আমি অপ্রস্তুত,উপরোন্তু ডান দিকের ঐ তিরিশ জোড়া চোখ ড্যাবড্যাবিয়ে সদ্য হিরোটিকে দেখছে--আমার রঙ ফরসা হলে,গালের লালিমা ওদের চোখেও ধরা পড়তোI ঘাবড়ে গিয়ে কোনমতে ক্লাশের পেছনে বসলাম I .জীবনের প্রায় দশ আনা পথ পেরিয়ে এসে কলেজে যা যা পড়েছি তা ভুলে গেছি কবেই I অধিকাংশ স্যারের নামও মনে পড়েনা I তবুও সেই দিনের কথা মনে পড়লেই লজ্জা তো হয়ই,এতদিন বাদেও মনে হয় স্যার বোধহয় স্বভাব জাত সহবৎ নিয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে মিটিমিটি হাসছেন!আমার অভিপ্রায় তাঁর চোখে ধরা পড়ে যাচ্ছে যে! .
স.মা.
No comments:
Post a Comment