হনুমানগড় শহর টা বেশ পুরনো.
ভাটনের এর দুর্গো আজ থেকে প্রায় শতেরো শ বছর আগে বানানো..
ঘর্ঘর নদী র তিরে ভদ্রকালী 'র মন্দির নাকি আরো পুরনো..... ঐতিহাসিক রা বলেন ঘর্ঘর ই নাকি প্রাচীন স্বরস্বতি নদী.
সেই স্বরস্বতি নদী'র খোঁজ এ যখন গুগুল মারলুম...... দেখি কি কান্ডো!!!
চোল্লিশ কিলোমিটার দুরেই নাকি এক হরাপ্পা'ন সাইট!
হরপ্পা..... মহেঞ্জদরো!!! সত্তি???
অতএব ঠিক করে ফেল্লাম কাল ই যাবো কালীবাংগা. কালীবাংগা অর্থাৎ কালো রং এর চুড়ি... কালীবাংগা আর পিলিবাংগা দুই ছোটো জানোপদ.....
কিন্তু ইতিহাস বলে এই কালীবাংগা ই নাকি ছিলো এক ব্যাস্ত জনপদ... তিন হাজার বছর আগে!
বউ, জুনিওর আর আমি যখন কালীবাংগা আরকিওলজিকাল সার্ভে র অফিস এ পৌছোলাম তখন সুর্যো বেশ চড়া.
সাইট ইন চার্জ সন্দিপ সিং বল্লেন প্রথমে মিউসিয়াম দেখেনিন..... তার পর সাইট দেখাবো.
মিউসিয়াম ভাগ করা প্রোটো-হরপ্পান আর হরপ্পান পিরিওড এ.... পুতি'র মালা, গয়না, শীলমহর, বাচ্চা দের খেলনা, বাসন পত্তোর.... সব দেখা হলো.
এবারে সন্দিপ সিং এর অফিস এ বসলাম আমরা... ইন্দাস ভ্যালী সিভিলাইজেশন এর পটারী র ওপর বিশেষোজ্ঞ্য সন্দিপ. জয়পুর এ বাড়ি. পরিবার পরিজন ছেড়ে পড়ে আছেন সাইট এ. সামান্য রেশন আর সব্জি বাজার করতে যেতে হয় ষোলো কিলোমিটার দুরে.
এবারে সন্দিপ আমাদের নিএ এলেন সাইট এ... বেশ ক'এক বর্গ কিলোমিটার ছড়িয়ে উনচু ঢিবি... মাঝে মাঝে এক্সকাভেশন এর গর্ত.
চড়া রদ্দুর এ খুদে প্রথমে কোলে চোড়ে ঘুরলেও একটু পরেই সে নিজে নিজে ঘুর কুড়োতে লাগলো পটারী র টুকরো. বারন করলাম আমি... সান্দিপ সিং হেসে বল্লেন আমরা প্রায় দশ হাজার আর্টিফেক্ট সংগ্রহ করেছি... তার মধ্যে হাজার খানেক রয়েচে মিউসিয়াম এ...
এখানে যা পড়ে আছে সে সব টুকরো র প্রয়োজন নেই.....
ঘুরিয়ে ঘুরিয় দেখাচ্ছিলেন সন্দিপ... তিন হাজার বছর এর পুরনো শহর এর নগর পরিকল্পনা.... রাস্তা. . বাড়ি.... এই কালীবাংগা তে ই রয়েচে প্রথম কৃষি কার্যের নমুনা......
কি চাস হতো সান্দিপ?
যব হতো... গম এর নিশানা ও পাওয়া গেছে....
পশুপালন এ মানুষ তখন দখ্যো.....
এই দেখুন... বলেই খুদে'র হাতে ধরা এক টুকরো টেরাকোটা'র নমুনা দেখিয়ে বল্লেন... এটা হলো দুধ ঠান্ডা করার পাত্র র বাইরের আবরন.... ছিদ্রো যুক্ত... হাওয়া চলাচল করে দুধ ঠান্ডা হতো... আমাদের থার্মস এর মতো.
ভাটনের এর দুর্গো আজ থেকে প্রায় শতেরো শ বছর আগে বানানো..
ঘর্ঘর নদী র তিরে ভদ্রকালী 'র মন্দির নাকি আরো পুরনো..... ঐতিহাসিক রা বলেন ঘর্ঘর ই নাকি প্রাচীন স্বরস্বতি নদী.
সেই স্বরস্বতি নদী'র খোঁজ এ যখন গুগুল মারলুম...... দেখি কি কান্ডো!!!
চোল্লিশ কিলোমিটার দুরেই নাকি এক হরাপ্পা'ন সাইট!
হরপ্পা..... মহেঞ্জদরো!!! সত্তি???
অতএব ঠিক করে ফেল্লাম কাল ই যাবো কালীবাংগা. কালীবাংগা অর্থাৎ কালো রং এর চুড়ি... কালীবাংগা আর পিলিবাংগা দুই ছোটো জানোপদ.....
কিন্তু ইতিহাস বলে এই কালীবাংগা ই নাকি ছিলো এক ব্যাস্ত জনপদ... তিন হাজার বছর আগে!
বউ, জুনিওর আর আমি যখন কালীবাংগা আরকিওলজিকাল সার্ভে র অফিস এ পৌছোলাম তখন সুর্যো বেশ চড়া.
সাইট ইন চার্জ সন্দিপ সিং বল্লেন প্রথমে মিউসিয়াম দেখেনিন..... তার পর সাইট দেখাবো.
মিউসিয়াম ভাগ করা প্রোটো-হরপ্পান আর হরপ্পান পিরিওড এ.... পুতি'র মালা, গয়না, শীলমহর, বাচ্চা দের খেলনা, বাসন পত্তোর.... সব দেখা হলো.
এবারে সন্দিপ সিং এর অফিস এ বসলাম আমরা... ইন্দাস ভ্যালী সিভিলাইজেশন এর পটারী র ওপর বিশেষোজ্ঞ্য সন্দিপ. জয়পুর এ বাড়ি. পরিবার পরিজন ছেড়ে পড়ে আছেন সাইট এ. সামান্য রেশন আর সব্জি বাজার করতে যেতে হয় ষোলো কিলোমিটার দুরে.
এবারে সন্দিপ আমাদের নিএ এলেন সাইট এ... বেশ ক'এক বর্গ কিলোমিটার ছড়িয়ে উনচু ঢিবি... মাঝে মাঝে এক্সকাভেশন এর গর্ত.
চড়া রদ্দুর এ খুদে প্রথমে কোলে চোড়ে ঘুরলেও একটু পরেই সে নিজে নিজে ঘুর কুড়োতে লাগলো পটারী র টুকরো. বারন করলাম আমি... সান্দিপ সিং হেসে বল্লেন আমরা প্রায় দশ হাজার আর্টিফেক্ট সংগ্রহ করেছি... তার মধ্যে হাজার খানেক রয়েচে মিউসিয়াম এ...
এখানে যা পড়ে আছে সে সব টুকরো র প্রয়োজন নেই.....
ঘুরিয়ে ঘুরিয় দেখাচ্ছিলেন সন্দিপ... তিন হাজার বছর এর পুরনো শহর এর নগর পরিকল্পনা.... রাস্তা. . বাড়ি.... এই কালীবাংগা তে ই রয়েচে প্রথম কৃষি কার্যের নমুনা......
কি চাস হতো সান্দিপ?
যব হতো... গম এর নিশানা ও পাওয়া গেছে....
পশুপালন এ মানুষ তখন দখ্যো.....
এই দেখুন... বলেই খুদে'র হাতে ধরা এক টুকরো টেরাকোটা'র নমুনা দেখিয়ে বল্লেন... এটা হলো দুধ ঠান্ডা করার পাত্র র বাইরের আবরন.... ছিদ্রো যুক্ত... হাওয়া চলাচল করে দুধ ঠান্ডা হতো... আমাদের থার্মস এর মতো.
ফেরার সমএ রাস্তা তে দেখি গাছের নিচে একটা লোক শরবত বিক্কিরি করচে....
গাড়ি দাঁড় করলাম... ঠান্ডা দুধ এ যব এর শরবত!
গাড়ি দাঁড় করলাম... ঠান্ডা দুধ এ যব এর শরবত!
চুমুক দিতে দিতে মনে হলো কেমন হতো সেই তিন হাজার বছর আগে ফিরে গেলে?
Terracotta piece collected by my 3 year old son from the Harappan site |
No comments:
Post a Comment