Tuesday, August 9, 2016

তিন দশক পরে :বাঁকুড়ার বিয়েত্রিচ : চঞ্চল রায়

(Where the heart lies let my brain lies there--- BROWNING) অনিদ রাত। আকাশে বুদ্ধ পূর্ণিমার চাঁদ এক পশলা বৃষ্টির পর। বেমানান জোৎস্না মৃত সঞ্জীবনীর মতন প্রবেশ করে প্রথম ফাল্গুনের অমৃত অমৃত স্বাদের আভাষের পীযূষ পীযূষ অনুভূতির শম্পাবৃত কবরে। এক ভয়ংঙ্কর সাইলেন্ট কিলার শব্দেত্বর তরঙ্গের কম্পাঙ্কে ফুসফুসের উঠানে বসে বাঁশি বাজায়। আন্দাজ ষাট ইন্চির হেরোইন পরমার কুমুদ মুখমন্ডলের হোয়াইট হাওস বাস্তবতার বিরুদ্ধে স্পার্টাকাসের মতন মরণ বাঁচন লড়াই করে আমার ছ ফুটের হৈমন্তিক রথ। সবাস্ সারথী সাবাস্। জীবন জীবন মোহ নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে মাখিয়ে মাখিয়ে ভাষা হারা বুকে স্বপ্নের বিদ্রোহ শাক দিয়ে মাছ ঢাকা ঢেকে পার করে দিলে প্রায় সমস্ত দৈনন্দিন। কে যেন আজ পূরবী রাগে গায়--- আয়, অভুক্ত বাছা মোর, গৃহহীন। ঢলে পড়া সূর্যের শীত শীত আলোয় দপ করে জ্বলে উঠছে সকালেরই নিভন্ত দীপ তীব্র শ্লোগান তুলেছে সাহারা লাগাম-- সাট্ আপ্, সারথী সাট্ আপ্। চৈতন্যময় পূর্বাচলের বাঁধ ভাঙ্গা জল ভাসাতে চায় সামাজিক অস্তিত্বময় অস্তাচল। পরিণামহীন উদাসীনতায় আমি লিখে দিয়ে যাই---- শোন, এই দৃশ্যমান মহাবিশ্বের প্রতিটি পরমাণু শোন, সেই শিখীর ডাকের আসা যাওয়ার পথের ধারের সেই পথ চাওয়া সেই সুখ দেয় আজো।

(কৃতঙ্গতা---1কন্ঠ উপনিষ /মনকে লাগাম, সারথীকে বুদ্ধি, ইন্দিয়দের ঘোড়া আর দেহকে রথ, আরোহিকে আত্মা বলে জানবে।2Lawrence---Between her breast my home 3 রবীন্দ্র সঙ্গীত)

No comments:

Post a Comment